লিখেছেন গাজী মোবারক হোসেন, সোনারগাঁ প্রতিনিধি দৈনিক কালের কন্ঠঃ
গত একমাস ধরে ঠিকমতো রিকসা চালাতে না পারায় ঠিকমতো চুলা জ্বলে না। খাওয়াদাওয়া ঘুম সব কিছুই যেন ইদ্রিস আলীর জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ইদ্রিস আলী রিকসা চালক কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস তার একমাত্র মেয়েটি দুরারোগ্য রোগে ভুগছে। পৌরসভার জয়রামপুরে ভাড়া থাকত। পরে কৃষ্ণপুরায়। বিক্রি করার মতো যা ছিল সব বিক্রি করে দিয়েছে। নিজের রিকসাটাও। তবু মেয়ের চিকিৎসা করাতে হিমসিম খাচ্ছে। মেয়েটি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি। অপারেশন জরুরি। সবার কাছে হাত পেতেছে তেমন কোন সাড়া পায়নি। শেষে হাবিব ভাইয়ের মাধ্যমে আমার কাছে আসা। সব শুনে বললাম আমার পক্ষে আপনার জন্য বেশি কিছু করা সম্ভব না। দেখি অন্য কারো মাধ্যমে কিছু করতে পারি কিনা। চিকিৎসকের ফোনে কথা বলে জানলাম অবস্থা খুব একটা ভাল না। তিনি জানালেন জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে পাঠাতে হবে। বললাম পাঠিয়ে দিন। তাদের কিছু বিল ছিল, আমি বিকাশে পাঠিয়ে দিলাম। হৃদরোগ হাসপাতালে পাঠানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎক ডা. বেনজামিনের সাথে কথা বলে জানলাম কিছু টেষ্ট করা খুব জরুরি। বিল আসতে পারে ৭-৮হাজার টাকা। বললাম বিলের জন্য চিন্তা করবেন না, বিকাশ নাম্বার দিন পাঠিয়ে দিচ্ছি। এরপর তিনি বললেন, অপারেশনের জন্য তৈরি থাকতে। ৩০-৫০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। চিকিৎসারাও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।
উপায় কি? অসহায় শিশুটি কি চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে। কার সহযোগিতা নেওয়া যায়। মাথায় আসলো ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম চেয়ারম্যানের কথা। এই একটা মাত্র লোক যার কাছে সহযোগিতা চেয়ে কোনদিন আশাহত হইনি। দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ে, অসহায় মানুষের চিকিৎসা, স্কুল, কলেজ মসজিদ যে কোন ব্যাপারে একবাক্যে এগিয়ে এসেছেন। এই মাত্র কয়েকদিন আগেও একজন ডায়ালাইসিস রোগির জন্য আমার মাধ্যমেই বিরাট সহযোগিতা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
#ইঞ্জিনিয়ার_মাসুম_চেয়ারম্যান কে মেয়েটির রোগ এবং বাবার আর্থিক অবস্থার কথা বলার সাথে সাথেই আমাকে প্রশ্ন করলেন, আমার কি করতে হবে। বললাম চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হবে। হয়ে গেল। মেয়েটির ঔষধ, চিকিৎসা সহ সব কিছু চালিয়ে নিতে থাকলাম। অপারেশনে যাওয়ার আগের দিন মেয়েটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। বাঁচা মরা আমাদের হাতে না কিন্তু মেয়েটির বাপ আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, আপনার জন্য আমার মেয়ের চিকিৎসার কোন অভাব রাখিনি বাবা হিসেবে এটাই আমার সান্তনা। যে মানুষটি আপনার মাধ্যমে আমার সন্তানের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, আল্লাহ্ তার ও তার পরিবারের মঙ্গল করবেন।
(ঘটনাটা দেড়বছর আগের)
এখানে মাত্র একটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু চেয়ারম্যান মাসুম এরকম অসংখ্য অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে যা আসলেই মানুষের হৃদয়ে দাগ কাটে তাই, মাতৃকন্ঠ পরিবারের পক্ষথেকে মানবতার ফেরিওয়ালা ইঞ্জিনিয়ার মাসুম চেয়ারম্যান এর জন্য রইলো শুভ কামনা।
Leave a Reply