অনলাইন ডেস্কঃ
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) কর্মসূচির আওতায় মো. নাহিদ নাদিম ২০১৫ সালে চাকরি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যান। সেখানে ৪ বছর ১০ মাস সুনামের সঙ্গে কাজ করার পর ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন। এরপর আবার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ পান। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার হোয়াসংসিতে অ্যালকো স্টিল নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সহকারী হিসেবে কর্মরত। প্রথমবার যখন কোরিয়া যান তখনো এই কোম্পানিতে চাকরি করেছিলেন তিনি।
মো. নাহিদ নাদিম প্রথম আলোকে বলেন, ইপিএস কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন উজবেকিস্তানসহ বিশ্বের ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্যে কোরিয়ানদের কাছে বাংলাদেশি কর্মীদের সুনাম রয়েছে। কারণ, অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশি কর্মীদের কোরিয়ান ভাষা দক্ষতা ভালো। তাঁরা সহজেই কোরিয়ানদের কথা বুঝতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশের কর্মীরা কোম্পানি বেশি পরিবর্তন করেন। এ জন্য কোরিয়ানরা তাঁদের কম পছন্দ করেন। বাংলাদেশি কর্মীরা দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করেন, তাই বাংলাদেশি কর্মীদের নিতে তাঁরা আগ্রহী বেশি।
মো. নাহিদ নাদিম বলেন, কোরিয়ানদের ব্যবহার অনেক ভালো। তাঁরা কর্মীদের প্রতি যত্নশীল। থাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন। ইপিএসের আওতায় যাঁরা দক্ষিণ কোরিয়ায় আসতে চান, তাঁদের শুধু কোরিয়ান শিখলেই হয়। অন্য কোনো কাজের অভিজ্ঞতা তেমন লাগে না। কোরিয়ানদের কাছে নিরাপত্তা আগে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ কর্মীদের দিয়ে করানো হয় না। যেসব কাজ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয়, সেসব কাজ মেশিন দিয়ে করা হয়।
সংগৃহীত দৈনিক প্রথম আলোঃ
Leave a Reply