অনলাইন ডেস্কঃ
সোনারগাঁয়ের ব্যস্ততম এলাকা মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত বাড়ীমজলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাটি শিক্ষার্থীদের জন্য চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আশপাশের রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয়ের দেয়ালঘেঁষে ফেলার কারণে ফুটপাত পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে মূল সড়ক দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ছাত্রছাত্রীরা পড়েছে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ অবস্থা বিরাজ করলেও বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্তরা কিংবা উপজেলা প্রশাসন ময়লা-আবর্জনা অপসারণে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ময়লা-আবর্জনার ওপর দিয়েই ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। বিদ্যালয়ের সামনের পুরো অংশেই ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নাক চেপে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
শত বছরের পুরনো এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪৩৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের প্রতিদিন এ ময়লা-আবর্জনার ওপর দিয়েই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ফলে কোমলমতি অনেক শিশু ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, সারা বছরই এ বিদ্যালয়ের সামনে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকে। তা ছাড়া বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এসব ময়লা-আবর্জনা পেরিয়ে শিশুরা স্কুলে আসতে চায় না। এ ছাড়া নানা রকম রোগের ঝুঁকি তো আছেই। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে ক্লাস করতেও কষ্ট হয় ছাত্রছাত্রীদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নারগিস শামসুন্নাহার বলেন, করোনা মহামারীর সময় দীর্ঘদিন বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় আশপাশের দোকানপাটের সব ময়লা-আবর্জনা স্কুলের সামনে ফেলে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলে বিদ্যালয়ের সামনের দেয়ালও নষ্ট করে ফেলেছে। আশপাশের দোকান ও রেস্টুরেন্টের মালিকদের একাধিকবার নিষেধ করার পরও তারা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করেননি। বর্তমানে এ স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা এ ময়লা-আবর্জনার জন্য চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
স্থানীয় মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেন জানান, এ বিদ্যালয়ের সামনের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য এরই মধ্যে একটি কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই বিদ্যালয়ের সামনের পরিচ্ছন্নতাসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমান জানান, ‘বিদ্যালয়টির প্রবেশমুখে ময়লা-আবর্জনা আমি দেখেছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অস্বাস্থ্যকর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে এগুলো অপসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ’
Leave a Reply