অনলাইন ডেস্কঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহাবাজপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ঘোলসা গ্রামের ছালিক আহমেদের ২য় ছেলে তারেক আহমেদ (২০) কে ঝুলন্ত অবস্থায় তার বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহঃবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৫ ঘটিকার সময় তারেক আহমেদের চাচী ওনার ঘরের জানালাটা খোলেন, তিনি বলেন, আমি জানালাটা খোলে দেকি তারেক কে, কাঁঠাল গাছে সাথে তাকে, এবং তার গলায় দড়ি দি বাদা। আমি যখন তারেকের নাম দরে ডাকি তখন সে কোনো জবাব দেয়নি। পরে আমাদের ঘরের সবাই এসে দেখে তারেক কে ঝুলন্ত অবস্থায় গাছের সাথে বেদে রাখা।
মৃত তারেক আহমেদের বাড়ির লোকের কাছ থেকে জানাযায়, সেহরি খেয়ে সে ফজরের নামাযে আসে,নামায শেষে আর বাড়িতে ফিরে যায়নি। খোঁজ করে তার বাড়ির পশ্চিম পাশে পাওয়া যায় তারেকের মরদেহ। পারিবারিক ভাবে সন্দেহ হলে তাকে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসি বলেন, যারা এই মার্মান্তিক মৃত্যু ঘটিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি চাই।
কত-শত সপ্ন ছিলো তারেকের। রামাদ্বানে বোনদের বাড়িতে আর ইফতারি দেওয়া হলোনা,, মা, বাবা ভাই বোনদের জন্য হলোনা ঈদের কেনা কাটা। এক নিমিশেই স্বপ্ন টা শেষ হয়ে গেলো।
বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, তারেক আহমদ নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন মেলেনি। তবে গলায় কিছু দাগ আছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply